ভূতের গল্পটা খুব ভয়ানক । অনেক বড় গল্পটা, তাই বেশি কিছু বলব । শুরু করি তাহলে ।
মিশু পুকুর পাড়ের সামনে
এসে দাড়ালো । হাতে
চায়ের কাপ । নিজের
জন্য না, পুকুরের
বাঁধানো পাড়ে একজন
বসে আছে । পুকুরের
দিকে মুখ করে এক ভাবে
তাকিয়ে আছে পানির
দিকে। কাজের
মেয়েটার এখানে আসার
কথা ছিল কিন্তু কাজের
মেয়েটা এক অদ্ভুদ
কারনে সামনের
মানুষটিকে ভয় করে ।
সামনে আসতে চায় না !
মিশুরও ভয় পাওয়ার কথা
কিন্তু মিশু এসবে
বিশ্বাস করে না । তবে
সামনের মানুষটি বেশ
মজার একজন মানুষ ।
কারন মানুষটির কাজ
হচ্ছে ভুত তাড়ানো ।
সেটাও মিশুর খুব একটা
আকর্ষনের বিষয় হত না
কিন্তু মানুষটি অন্য সব
ভুত তাড়ানো মানুষের
মত হত । কিন্তু এই
মানুষটি অন্য সবার
ধারে কাছ দিয়েও না ।
প্রথম যেদিন
দেখেছিলো তখন
বিশ্বাসই হচ্ছিলো না ।
পরিপাটি ভাবে
জিন্সের প্যান্টের
সাথে কালো রংয়ের
একটা শার্ট ইন করে পরা
। মুখে এক দিনের খোঁচা
খোঁচা দাড়ি তবে সেটা
চেহারার সাথে একদম
মানিয়ে গেছে ।
শার্টের ভেতরে একটা
সান গ্লাসও দেখা
যাচ্ছিলো । এই মানুষকে
কোন ফ্যাশন হাউজের
মডেল বলে নির্দ্বিধায়
চালিয়ে দেওয়া যায়
সেখানে সেই মানুষ কি
না ভুত তাড়ায় ! মিশুর
মানতেই কষ্ট হয়েছিলো
তখন । বেশ মজাও
লাগছিলো অবশ্য ।
আধুনিক ভুতের ওঁঝা !
মিশু আরও একটু এগিয়ে
গেল । তখনই মানুষটা ওর
দিকে ফিরে তাকালো
। সাথে সাথেই একটু
হাসলো ! এই মানুষের
হাসি দেখে কেউ
কিভাবে ভয় পেতে
পারে মিশু ভেবে পেল
না । শিউলিটা আসলেই
একটা গাধা !
মিশুকে দেখে
সাব্বির একটু অবাক
হওয়ার ভান করা হাসি
দিল । তারপর বলল
-আরে তুমি চা
নিয়েছো ? তোমাদের
কাজের মেয়েটা
শিউলী না কি নাম, সে
কোথায় ?
মিশু বলল
-আপনাকে দেখে ও ভয়
পায় । প্রথম দিন আপনি
নাকি ওকে কি
দেখিয়েছিলেন ।
সেটার পর থেকে আপনার
নাম শুনলেই ওর খবর হয়ে
যায় !
সাব্বির শব্দ করে
হাসলো । তারপর মিশুর
দিকে তাকিয়ে বলল
-তোমার ভয় লাগে না ?
-আমাকে ভয় দেখানো
এতো সহজ না !
-সাহসী মেয়ে আমার খুব
পছন্দ । যাই হোক চা টা
কি আমার জন্য ?
-ও ! হ্যা । মা
পাঠিয়েছে !
-তাই ? আমি ভাবলাম
তুমি চা টা
বানিয়েছো ?
-আমি বানিয়েছি কিন্তু
মা বলল আর কি ! আপনি
নাকি চা চেয়েছিলেন ?
সে আবারও কিছু
সময় মিশুর দিকে
তাকিয়ে থেকে বলল
-তুমি চা ভাল বানাও ।
তবে আজকে চায়ে চিনি
দিতে ভুলে গেছো ।
-কি ? মোটেই না ! আমি
চায়ে চিনি দিয়েছি !
-একটা চুমুক দিয়েই দেখ !
মিশু কিছু সময়
তার দিকে
তাকিয়ে রইলো । তারপর
বলল
-আপনি কি আমার সাথে
কোন ট্রিকস খেলার
চেষ্টা করছেন ? যদি
করে থাকেন তাহলে
বলে রাখি আমি কিন্তু
শিউলি না । আমাকে
এতো সহজে বোকা
বানাতে পারবেন না ।
-এক চুমুক দিয়েই দেখো ।
মিশু আরও কয়েকটা মুহুর্ত
সাব্বিরের চোখের
দিকে তাকিয়ে রইলো ।
মানুষটার চোখের
ভেতরে অন্য রকম কিছু
একটা আছে যেটা কোন
ভাবেই অগ্রাহ্য করার
কোন উপায় নেই । মিশু
সেটা ভাবতে ভাবতেই
চায়ের কাপে চুমুক দিল ।
তখনই মনে হল তিনি
ঠিক কথাই বলেছে । ও
আসলেই চায়ে চিনি দেয়
নি । একদমই চিনি দেই
নি । একটু না অনেক
খানি অবাক হল ও ।
এমনটা মোটেও হওয়ার
কথা না । মিশু চায়ে
চিনি ছাড়া খেতেই
পারে না । যখনই ও চা
বানায় সব সময় সবার
আগে চিনি মেশাতে ভুল
করে না । ওর বড় বোন
মিমি তো বলে মিশু চা
নয় শরবতে বানাতেই
ভাল পারে ।
আজকে কি ও চিনি
দিতে ভুলে গেল ?
নাহ । এমনটা হতে পারে
না ।
তাহলে ?
তাহলে সামনের বসা
মানুষটার কি কোন হাত
আছে এতে !
নাহ । এমন কোন হাত নেই
। ও নিশ্চয়ই ভুলে গেছে
চিনি দিতে । এমন হতেই
পারে ।
মিশু বলল
-আমি নতুন করে বানিয়ে
আনছি !
সাব্বির বলে উঠলো
-কোন দরকার নেই । এই
চা ই চলবে !
-আরে আমি মুখ দিয়েছি
। আমার এটো আপনি
খাবেন কেন ?
-আমি বললাম তো সমস্যা
নেই । দাও চায়ের
কাপটা আমার কাছে !
অনিচ্ছা স্বত্ত্বেও মিশু
চায়ের কাপটা
সাব্বিরের হাতে দিল
। এবং অবাক হয়ে লক্ষ্য
করলো সে চায়ে চুমুক
দিতে শুরু করেছে । এবং
এমন একটা ভাব করছে
যেন চা খেতে বেশ মজা
হয়েছে ।
মিশুর কেমন যেন লাগছে
শুরু করলো । একবার মনে
হল এখান থেকে চলে
যেতে কিন্তু সেটা
করলো না ।
সাব্বিরের পাশে
বসলো । তারপর বলল
-আপুর ব্যাপারে কি হল ?
-যা ভেবেছিলাম তাই ।
-সত্যিই ?
-হ্যা ! তোমরা হয়তো
বিশ্বাস করবে না তবে
এটাই সত্যি ।
মিশু কি বলবে খুজে পেল
না । গত ৬ মাস ধরে
ওদের ফ্যামিলির সব
কিছু যেন কেমন ওলট
পালট হয়ে গেছে । সব
সময় হাসি খুশি থাকা ওর
বড় বোন মিমি হঠাৎ
করেই লক্ষ্য করা শুরু
করলো ও শরীরে জোর
পাচ্ছে না । সপ্তাহ
যেতে না যেতেই
একেবারে বিছানায়
পরে গেল । দেশের সব
থেকে বড় বড় ডাক্তার
দেখানো হল, যাওয়া হল
বাইরেও কিন্তু কোন
কাজই হল না । দীর্ঘ চার
মাস চিকিৎসা করার
পরে ডাক্তাররা হাল
ছেড়ে দিল । তারা কোন
কিছু বুঝতে পারছে না ।
শেষে বাসায় নিয়ে
যাওয়ার পরামর্শ দিলেন
। দিন দিন মিমির
প্রানশক্তি কমে
আসছিলো । সে যে কদিন
পরেই মারা যাবে সেটা
বুঝতে আর কারো বাকি
রইলো না । তাই ওরা
ওদের ঢাকার বাসা
ছেড়ে মুন্সিগঞ্জের এই
বাগান বাড়িতে এসে
উঠেছে । এটা মিমির
অনেক পছন্দের একটা
স্থান । সময় সুযোগ
পেলেই দুবোন মিলে
এখানে চলে আসতো ।
এখানে পুকুর পাড়ে বসে
থাকতো নয়তো গ্রামের
মধ্যে ঘোরাঘুরি করতো
। শেষ দিন গুলো এখানেই
কাটুক ওর ।
এখানে এসেই ওদের
কেয়ারটেকারের কাছ
থেকে সাব্বিরের
কথা শুনতে পায় ওদের মা
। ডুবন্ত মানুষ যেমন
খড়কুটা যা পায় সব ধরে
বেঁচে থাকতে চায় ঠিক
তেমনই ওদের মা
জোবাইদা বেগমও
মেয়েকে বাঁচানোর জন্য
সাব্বিরকে খবর
দিলেন ।
সাব্বির এসে হাজিরও
হল । তখন ওকে দেখে
কেবল মিশু কেন বাসার
কারোই ঠিক বিশ্বাস হয়
নি যে এই মানুষ ভুত
তাড়ানোর ওঁঝা হতে
পারে ।
প্রথম দিন সাব্বির
কারো সাথে তেমন
কোন কথা বলে নি ।
কেবল কাজের কথা বলে
মিমির রুমে বসে ছিল
অনেকটা সময় ।
একেবারে চুপ করে ।
মিমির ঘুমন্ত চেহারার
দিকে এক ভাবে
তাকিয়ে ছিল । মিশু
নিজেও সেই রুমে ছিল ।
সাব্বির কি করলো
কেউ জানতেও পারলো
না । প্রায় ঘন্টা দুয়েক
পার হওয়ার পর যেন
সাব্বিরের ধ্যান
ভাঙ্গলো । সে
জোবাইদা বেগমের
দিকে তাকিয়ে বলল
-আপনারা এতো দেরি
কেন করলেন ? শুরু দিকেই
আমাকে খবর দিলে
অবস্থা এতো খারাপ হত
না !
-কি করতে তুমি ?
কথাটা মিশুর বাবা
আলতাফ মাহমুদ বলল ।
-দেশ বিদেশে বড় বড়
ডাক্তার যেখানে কি
করতে পারলো না, তুমি
কি করবে ? ফু দিয়ে
আমার মেয়েকে ঠিক
করে দিবে ?
মিশু বলল
-বাবা প্লিজ !
-আমার মেয়েটাকে একটু
শান্তিতে থাকতে দাও
তোমরা ! তোমরা কেউ
কি বুঝতে পারছো না
যে ...
মিশু জানে উপরে উপরে
ওর বাবা যতই কঠিন
থাকার চেষ্টা করুক না
কেন, সব থেকে তিনিই
ভেঙ্গে পড়েছেন ।
এভাবে চোখের সামনে
নিজের মেয়েকে চলে
যেতে দেখা এবং বাবা
হয়ে কিছু করতে না
পারা, কত যে কষ্টের
একটা ব্যাপার কেবল
সেটা তিনিই বুঝতে
পারছেন! জোবাইবা
বেগম স্বামীকে নিয়ে
অন্য রুমে চলে গেল । মিশু
ভেবেছিলো সাব্বির
রাগ করে চলে যাবে
তবে সাব্বিরের মুখ
দেখে মনে হল এমন ঘটনা
ওর জন্য খুব স্বাভাবিক
একটা ব্যাপার ! মিশু বলল
-আপনি প্লিজ বাবার
কথায় কিছু মনে করবেন
না ।
-না মনে করার কিছু নেই
। আমার অভ্যাস আছে
এরকম কথা শুনে । পরে
উনি নিজের ভুল বুঝতে
পারবেন ।
মিশু বলল
-আপনার কি মনে হচ্ছে ?
-কেউ তোমার বোনকে
কালো জাদু করেছে !
যদি কালো উর্দি পরা
মানুষের মুখ থেকে এই
কথাটা শুনতো তাহলে
মিশুর খুব একটা অবাক
লাগতো না তবে এমন
ফিটফাট পোশাক পরা
কারো কাছ থেকে এমন
কথা আসলেই ওর কাছে
কেমন বেখাপ্পা লাগছে
। সাব্বির বলল
-আচ্ছা তুমি আমাকে
ঠিক বলতো ঠিক কোন
দিন থেকে এমন শুরু
হয়েছে ?
মিশু ঠিক ঠিক তারিখ
আর দিনটা বলে দিল ।
সাব্বির বলল
-এরকম ঠিক ঠিক তারিখ
কিভাবে মনে রাখলে ।
ডায়রি লিখতে ?
-না ! আসলে ঐ দিনের
আগের দিন আপুর পোষা
বেড়ালটা মারা
গিয়েছিল !
-বেড়াল !
বেড়ালের কথা শুনেই
সাব্বিরের মুখটা একটু
যেন অন্য রকম হয়ে গেল ।
সেটা মিশুর চোখ
এড়ালো না । মিশু বলল
-হ্যা । আসলে বেড়ালটা
আপু জন্ম দিনে উপহার
পেয়েছিল । ফাহিম
ভাইয়া দিয়েছিলো ।
আপুর সাথে পড়ে, খুব ভাল
বন্ধু ওরা । মাত্র এক
সপ্তাহ আগে ফাহিম
ভাইয়া মিমি আপুকে
বেড়ালটা উপহার
দিয়েছিল । তারপর যখন
বেড়ালটা মারা গেল
আপু খুব কেঁদেছিল ।
বেড়ার মারা যাওয়ার
ঠিক পরদিনই আপুর এই
সমস্যাটা দেখা দেয় !
শরীরে বল পায় না ।
সেদিন আর কিছু জানতে
চায় নি সাব্বির ।
কেবল ফাহিমের নাম
ঠিকানা আর ফোন নম্বর
নিয়ে গিয়েছিলো ।
তারপর আরও দুদিন এই
বাসা এসেছিল তবে খুব
বেশি সময় থাকে নি ।
পুরো এক সপ্তাহ পরে
আজকে আবার এসে
হাজির ।
মিশু আরও অনেকটা সময়
সাব্বিরের সাথেই
পুকুর পাড়ে বসে রইলো ।
কোন কথা হল না অবশ্য
দুজনের ভেতরে । মিশুর
অবশ্য এখনও এই সময় কালো
যাদু টাইপের কথাতে
বিশ্বাস নেই তবে কেন
জানি ওর বিশ্বাস করতে
ইচ্ছে করছে । কারন এটা
ছাড়া আর কোন ব্যাখ্যা
ওর কাছে নেই । ওর কেন
কারো কাছে নেই ।
সাব্বির হঠাৎ উঠে
দাড়ালো । তারপর মিশুর
দিকে তাকিয়ে বলল
-চল তোমার বাবা
আমাদের জন্য অপেক্ষা
করছে । আমি যা জানতে
পেরেছি সেটা তাকে
বলা দরকার !
-আপনি কিভাবে বুঝলেন
বাবা আমাদের জন্য
অপেক্ষা করছে !
এই কথা বলতে না বলতেই
ওর চোখ ওদের বাসার
দিকে গেল । দরজায়
ওদের কাজের
মেয়েটাকে দেখা গেল
পর মুহুর্তেই । ওদের দিকে
তাকিয়ে শিউলি
চিৎকার করে বলল
-সাহেব আপনারে
ডাকে !
এই লাইণ বলেই শিউলি
আবার দ্রুত ভেতরে চলে
গেল । ওর চোখের ভীত
ভাবটা মিশুর চোখ এড়াই
নি । ততক্ষনে সে
হাটা শুরু করে দিয়েছে ।
চায়ের কাপটা হাতে
নিয়ে মিশু পেছন পেছন
হাতে লাগলো । চায়ের
কাপের দিকে চোখ
পড়তেই অবাক হয়ে
তাকিয়ে রইলো
সেদিকে কিছুটা সময় ।
চা একেবারে শেষ হয়ে
গেছে । সেখানে
কয়েকটি চিনির দানা
এখনও অগলিত অবস্থায়
দেখা যাচ্ছে !
তার মানে ও ঠিকই
চায়ে চিনি
দিয়েছিলো !!
কিন্তু চা তখন এমন
পানসে কিভাবে
লাগলো !!
মিশুর কেন জানি
শরীরটা একটু শিরশির
করে উঠলো ।
চারিদিকটা একদম
নির্জন হয়ে আছে ! সে
একটু জোরে পা চালিয়ে
বাসার দিকে রওনা
দিল !
দিবার কাছে বেড়াল
ছানাটা দেখে ফাহিম
অবাক না হয়ে পারলো
না । ফাহিম যতদুর জানে
দিবা পোষা প্রাণী
বিশেষ করে কুকুর বেড়াল
টাইপের প্রাণী একদম
সহ্য করতে পারে না ।
তাহলে আজকে ওর কাছে
এই বেড়াল ছানা কেন ?
-আজকে কি হয়েছে
তোমার ? বিড়াল কেন ?
দিবা একটু হাসার
চেষ্টা করলো তবে
সেটা খুব একটা কাজে এল
না । মেয়েটা যেন কোন
কিছু নিয়ে চিন্তিত ।
দিবা বলল
-আমার জন্য না । এটা
মিমির জন্য !
-মিমি ?
-আজকে ওর জন্মদিনের
পার্টিতে যাচ্ছো না
তুমি ?
-কেন, তুমি যাচ্ছো না ?
-না । আমার একটা কাজ
পড়ে গেছে । সেখানে
যেতে হবে । মিমিকে
ফোন দিয়েছিলাম ওতো
আমার উপর রেগে আগুন ।
কথা বলা বন্ধ করে
দিয়েছে ।
ফাহিম হাসলো । মিমির
সব কিছুতেই ফাহিমের
একটা নিরব সম্মতি আছে
। ফাহিম বলল
-তো আমাকে কি করতে
হবে ?
-এটা নিয়ে ওকে দিবে
কিন্তু বলবা না যে আমি
দিয়েছি । ঠিক আছে ?
বলবা তুমি দিয়েছো ।
-কেন ? সমস্যা কি ?
-সমস্যা আছে । কদিন
পরে আমিই ওকে বলবো
নে ! ঠিক আছে ?
-আচ্ছা !
ফাহিম আর কথা
বাড়ালো না ।
বেড়ালটা নিয়ে রওনা
দিল মিমির বাসার
দিকে । ফাহিমকে চলে
যেতে দেখলো । একবার
মনে হল ও কাজটা করতে
করতে যাচ্ছে সেটা বন্ধ
করার এখনও উপায় আছে ।
এখন যদি দৌড়ে গিয়ে
ফাহিমকে আটকায়
তাহলেও আর কিছু হবে
না । কিন্তু ও কাজটা
করলো না । কাজটা ওকে
করতেই হবে । ওর চোখের
সামনে দিয়ে ওর
ভালবাসার মানুষটা
অন্য কাউকে পছন্দ করবে
সেটা ও কোন ভাবেই
মেনে নিতে পারে না ।
অন্তত এভাবে চোখের
সামনে ফাহিমকে চলে
যেতে দিতে পারে না ।
দিবা খুব ভাল করেই
জানে যে ফাহিম কেন
মিমিকে পছন্দ করে ।
চেহারার কথা
বিবেচনা করলে মিমি
কোন দিনও দিবার
সাথে পারবে না ।
কিন্তু তবুও ফাহিমের
পছন্দ মিমিকেই । মিমির
বাবা দিবার বাবার
থেকে অনেক বেশি
বড়লোক । মিমির
গাড়িটার দাম ওর
গাড়িটার থেকেও
অনেক বেশি । দিবা
এটা মেনে নিতে
পারছে না । এটা ওকে
করতে হবেই । মিমির
জন্য যে ওর খারাপ
লাগছে না সেটা না
তবে ও এটার করার
সিদ্ধান্ত নিয়েছে
অনেক দিন থেকেই ।
যে কাজটা ও করতে
যাচ্ছে সেটার বীজ ও
গতকালকেই বুনে দিয়ে
এসেছে । আজকে সব শেষ
ধাপটা ! বেড়ালটা
কেবল মিমির হাতে
পৌছালেই হবে । ব্যাস !
তার পর বাকি কাজ
এমনি এমনিই হবে !
আলতাফ মাহমুদ
সাব্বিরের দিকে
কিছু সময় তাকিয়ে
রইলো । একটু যেন বিরক্ত
। সাব্বিরকে সে ঠিক
পছন্দ করে না । তার
এসবে ঠিক বিশ্বাস নেই
। তবুও তার স্ত্রী এবং
মেয়ের কথা চিন্তা
করে তিনি কিছু বলছেন
না । কিন্তু একটু আগে সে
যা বলেছে সেটা তার
কাছে বুলশিট ছাড়া আর
কিছুই মনে হয় নি ।
আলতাফ মাহমদ বলল
-তো তুমি বলতে চাও
আমার মেয়েকে তার সব
থেকে কাছের বন্ধু দিবা
কালো যাদু করেছে !
কেন করেছে ? কারন সে
ফাহিমকে পছন্দ করে
কিন্তু ফাহিম পছন্দ করে
মিমিকে । এই জন্য
মিমিকে পথ থেকে
সরানোর জন্য এই কাজ
করেছে ?
সাব্বির খুব
স্বাভাবিক ভাবেই বলল
-জি !
-তুমি কি জীবনটা
বাংলা সিনেমা
পেয়েছো ? আর আমরা
বাংলা সিনেমার
দর্শক ! যা বলবে যা
গেলাবে তাই গিলবো !
তোমার টাকার দরকার
আমাকে বল
No responses to একটা ভুতের গল্প । খুব ভয়ানক ভৌতের গল্প ।
Be first Make a comment.